টাকা দিলেই বাড়বে নম্বর - কাটোয়া কলেজের জুলজি বিভাগের ঘটনা ঘিরে তোলপাড়

10th September 2020 12:56 pm বর্ধমান
টাকা দিলেই বাড়বে নম্বর - কাটোয়া কলেজের জুলজি বিভাগের ঘটনা ঘিরে তোলপাড়


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : পর্দা ফাঁস হল  টাকা নিয়ে পরীক্ষার খাতায় নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্তের । সেই সঙ্গে  সামনে এল এক  ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে  অশ্লীল ভিডিয়ো পাঠিয়ে উতক্ত করার ঘটনাও। যা নিয়ে বুধবার ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কলেজে ।  গোটা ঘটনার জন্য পড়ুয়ারা কলেজের জুলজি বিভাগের  তিন শিক্ষকে দায়ী করেছেন ।ঘটনার বিহিত চেয়ে  অডিয়ো ক্লিপিংস ও মোবাইলের স্ক্রিন শট্ সহ কলেজের অধ্যক্ষ এবং কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য তথা বিধায়ক  রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে পড়ুয়ারা । কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগের তদন্ত শুরু করলেও ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন অবিভাবক মহল । যদিও জুলজি বিভাগের শিক্ষকদের দাবি চক্রান্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে ।  কাটোয়া কলেজের পড়ুয়াদের কথায় জানা গিয়েছে , “অডিয়ো বক্তব্যটি জুলজি বিভাগের একজন শিক্ষকের । সেই অডিয়োর বক্তব্যে  শোনা যাচ্ছে  এক জন শিক্ষক আর একজন শিক্ষককে বলছেন ,“মেধাবী পড়ুয়ারা পরীক্ষায় কি করে ৮-৯ নম্বর পায় তা দেখে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ওই মেধাবী পড়ুয়ার  উত্তরপত্র ছিড়ে ফেলে দেওয়া হবে। তারপর নম্বর পাঠানো হবে  বিশ্ববিদ্যালয়ে । এছাড়াও  প্রতিটি বিষয়ে ৫০০ টাকা করে চারটি বিষয়ের জন্য ২ হাজার টাকা । আর টিউশনি ফির  জন্য আরও ২ হাজার টাকা অর্থাৎ মোট চার হাজার টাকা দেওয়ার কথা একজন শিক্ষক এক ছাত্রকে মোবাইলে বলছেন। অডিয়োতে   এমনটাও   শোনা যাচ্ছে । ”পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ জুলজি বিভাগের  প্রধান শিক্ষক এক ছাত্রীর মোবাইলে লাগাতার অশ্লীল ভিডিয়ো ও মেসেজ  পাঠিয়ে তাকে উত‍্য‍ক্ত করছেন। কলেজের জুলজি বিভাগের প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও, “সমস্ত অভিযোগ  মিথ্যা  বলে দাবি করেছেন । তিনি বলেন,তাঁর  বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। চক্রান্ত  প্রসঙ্গে নির্ভীক বাবুর ব্যক্ষা তিনি শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সঙ্গে যুক্ত  আছেন । তাই   কলেজের একাংশ  উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে তাঁর চরিত্র হননের চেষ্টা চালাচ্ছে ”। কাটোয়া কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, “মোবাইলের কয়েকটি  স্ক্রিন শট্ ও  অডিয়ো ক্লিপিংস সহ পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে । অধ্যক্ষ বলেন বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও  জানিয়েছেন।” কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে । অভিযোগের সত্যতা মিললে যথাযথ  ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।